Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এক নজরে

তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গো-প্রজনন খামার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। যার ফলে ১৯৫৯-৬০ খ্রি. সালে ২৬১৩ একর  অনাবাদি জমির উপর খামারটি স্থাপিত হয়। তবে বিভিন্ন সময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তরের পর বর্তমানে খামারে মোট জমির পরিমান ৭৯২.৮৭ একর। ১৯৬৩-৬৪ সালে তদানিন্তন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সংগৃহীত সিন্ধি, শাহীওয়াল জাতের গরুসহ দেশীয় গবাদিপশু নিয়ে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে ১২৫টি হোলষ্টেইন ফ্রিজিয়ান ও জার্সি জাতের বকনা ও ষাঁড় আনয়নের মাধ্যমে গবাদিপশুতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়। পরবর্তীতে আমদানীকৃত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের গরুর মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে দেশব্যাপী গবাদিপশুর উন্নয়ন ঘটে।

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার বিশুদ্ধ ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, বিভিন্ন সংকরজাতের (দেশি x ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল x ফ্রিজিয়ান) ও দেশি (পাবনা, মিরকাদিম) জাতের গরু পালনের মাধ্যমে দেশের গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের সাথে সাথে দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খামারের অভ্যন্তরীন বায়ার, ভেটেরিনারি, কৃষি, ডেইরি, কারখানা ও প্রশাসন শাখার মাধ্যমে সকল কার্যাবলি সম্পাদিত হয়ে থাকে।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নলালিত সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ভিশন ২০৪১ ও ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণ করেছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য জনগণের জন্য প্রাণিজ পুষ্টি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ দুধ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি সহযোগি ও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার, সাভার, ঢাকা তার সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কাংক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।